বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ও ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচির পদত্যাগ ও বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ বাতিল করে নতুন নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে সদস্যদের একাংশ।
সোমবার দুপুরে রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে ‘বিজিএমইএর সাধারণ সদস্যবৃন্দ’ ব্যানারে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ‘অনন্ত কম্পানিজ'- এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইনামুল হক খান (বাবলু) এ দাবি জানান।
তিনি বলেন, ‘ছাত্র-জনতার আন্দোলনে কয়েক সপ্তাহ কারখানা পরিচালনা ব্যাহত হয়। তবে ৬ আগস্ট সকাল থেকে কলকারখানা খুলে দেওয়ার ঘোষণা এলে বিজিএমইএ বিপরীত নোটিশ দিয়ে কারখানা বন্ধ রাখতে বলে। ফলে মালিকরা বিভ্রান্ত হন। অনেকে কারখানা খুলে শ্রমিক অসন্তোষের মধ্যে পড়েন। এমতাবস্থায় ৭ আগস্ট বিজিএমইএতে উপস্থিত হলে বিজিএমইএ’র ‘বিতর্কিত প্রেসিডেন্ট’ এসএম মান্নান কচিকে না পেয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টকে এম রফিকুল ইসলামের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।’
তখন মতবিনিময়ে সভাপতি ও বোর্ড সদস্যদের ব্যর্থতার জন্য পদত্যাগের দাবি জানালে তারা নীতিগতভাবে সম্মত হন দাবি করে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ‘এক পর্যায়ে অসংখ্য বহিরাগত বিজিএমইএ ভবনে দেখা গেলে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট সবার অনুরোধে তাদের সভাস্থল ত্যাগ করতে বললে তারা সভাস্থল ত্যাগ করেন ঠিকই, কিন্তু বিজিএমইএ ভবনেই থাকেন।এরপর কচির অনুগত পরিচালক রেজাউল মিরু, সাইফুদ্দিন সাগর ও রাজিব চৌধুরী ফের বহিরাগতসহ সভাকক্ষে ঢুকে অরাজকতা সৃষ্টি করলে মিটিং অসমাপ্ত রেখে বোর্ড সদস্যরা বেরিয়ে যান, যোগ করেন ইনামুল হক খান (বাবলু)।
সংবাদ সম্মেলনে অবিলম্বে বিজিএমইএ সভাপতি ও পরিচালনা পর্ষদের পদত্যাগ, দলীয় প্রভাবমুক্ত অন্তর্বর্তীকালীন পরিচালনা পর্ষদ গঠন করে স্বচ্ছ ভোটার তালিকা প্রণয়নের মাধ্যমে নির্বাচনের ব্যবস্থা করার দাবি জানানো হয়। পাশাপাশি বিজিএমইএ’র দুর্নীতিবাজদের সুষ্ঠু বিচারেরও দাবি জানানো হয়।