উপদেষ্টার প্রস্তাব ফির‍িয়ে দেওয়ার পর যা বললেন শায়খ আহমাদুল্লাহ

কোটাসংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে তৈরি হওয়া ব্যাপক গণবিক্ষোভের মাঝে গত সোমবার ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়েছেন শেখ হাসিনা। এর সাথেই পতন হয় আওয়ামী সরকারের। এরপর বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।


বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) রাত ৯টার পর শপথ গ্রহণ করেন নোবেল জয়ী এই অর্থনীতিবিদ। তাকে শপথ বাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।


এ সময় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বাকি ১৬ সদস্যের মধ্যে ১৩ জন উপস্থিত ছিলেন। প্রধান উপদেষ্টার শপথের পর একসঙ্গে শপথ নেন ১৩ উপদেষ্টা। শপথ অনুষ্ঠানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, শিক্ষাবিদ, কূটনীতিকসহ সরকারি ও সামরিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


এদিকে উপদেষ্টা হওয়ার প্রস্তাব পেয়েও তা ফির‍িয়ে দিয়েছেন ইসলামিক ব্যক্তিত্ব শায়খ আহমাদুল্লাহ। এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার রাতে নিজ ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি পোস্ট দেন তিনি।


পোস্টে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাফল্য কামনা করে তিনি লিখেছেন, নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যাত্রা শুরু হলো। আমি এই সরকারের সাফল্য কামনা করছি।

তিনি আরও লেখেন, সর্ব-প্রকার জুলুম, অরাজকতা, চাঁদাবাজি ও অপশাসনের অবসান হোক, এদেশের সব ধর্মের মানুষ ভালো ও নিরাপদ থাকুক, নতুন সরকারের কথায় ও কাজে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের বিশ্বাস ও মূল্যবোধের প্রতিফলন ঘটুক—এই প্রত্যাশা তাদের প্রতি।


এরপর শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, আলহামদুলিল্লাহ, আলেমদের প্রতিনিধি হিসেবে মনোনিত হলেন সিনিয়র আলেম প্রিয় মানুষ ড. আ ফ ম খালেদ হোসেন। অভিনন্দন তাকে। মহান আল্লাহ তার কাজ সহজ করে দিন এবং তাকে সঠিক পথে পরিচালিত করুন।


নিজের নাম প্রস্তাবের বিষয়ে এই আলেম লেখেন, আমার অযোগ্যতা সত্ত্বেও আপনারা অনেকে গত দুই দিন ধরে আমার নাম প্রস্তাব করেছেন এবং আমার প্রতি আস্থা প্রকাশ করেছেন; যার উপযুক্ত আমি ছিলাম না, তাদের সবার প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। মহান আল্লাহ আপনাদের ভালোবাসা ও সুধারণার উত্তম বিনিময় দান করুন।


তিনি লেখেন, নতুন সরকারের কাছে মানুষের প্রত্যাশা অনেক বেশি। তার কতটুকু তারা পূরণ করতে পারবে সেটা সময়ই বলে দিবে। তবে দোয়া করি, প্রিয় মাতৃভূমি ভালো থাকুক। নিরাপদ থাকুক আমাদের জীবন, সম্পদ, দীন ও ঈমান।