দেশের চার মোবাইল ফোন অপারেটরের নেটওয়ার্কে ১৯ লাখ ৭৬ হাজার আইফোন সচল রয়েছে। এসব আইফোনের মধ্যে মাত্র ২০ হাজার বৈধ হিসেবে নিবন্ধিত। বাকি ১৯ লাখ ৫৫ হাজারই অবৈধ।
অবৈধ এসব ফোন বিটিআরসির ‘নক অটোমেশন অ্যান্ড আইএমইআই ডেটাবেইজ (এনএআইডি)’ সিস্টেমে দেশের বৈধ আমদানিকারক হতে বা বৈধ পথে আসা হিসেবে নিবন্ধিত নয়।
গ্রাহক সংখ্যায় দেশের সবচেয়ে বড় মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোনে চলছে ১০ লাখ আইফোন। রবিতে এই সংখ্যা ৬ লাখ ৪৬ হাজার। বাংলালিংকে ৩ লাখ ১০ হাজার আর টেলিটকে ২০ হাজার আইফোন সক্রিয় রয়েছে।
দেশে বৈধ পথে আইফোন আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর অন্যতম সেলেক্সট্রা লিমিটেড। বৈধ পন্থায় আইফোন এনে তা বিক্রি করতে না পেরে এখন আমদানিই বন্ধ করে দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
সেলেক্সট্রা লিমিটেডের সহ-প্রতিষ্ঠাতা রিয়াজুল ইসলাম জানান, ‘৬০ শতাংশ শুল্ককর দিয়ে বৈধ পথে আনা একটি আইফোনের সঙ্গে অবৈধ পথে আনা আইফোনের দামের পার্থক্য থাকে ৬০ হতে ৭০ হাজার টাকা। যেমন বৈধ পথে আমদানি করা আইফোন ১৫প্রো ম্যাক্স ২৫৬ জিবির দাম ২ লাখ ৪০ হাজার টাকার মতো। অথচ অবৈধ পথে আসা এই ফোনটি বিক্রি হচ্ছে ১ লাখ ৪৮ হাজার হতে ৫০ হাজার টাকায়।’
এমআইওবি’র সহ-সভাপতি রেজওয়ানুল হক বলেন, শুধু এক আইফোন দিয়েই সরকার ১০ হাজার কোটি টাকার বেশি রাজস্ব হারাচ্ছে। যা দেশের মোট মোবাইল শিল্পখাতের এক বছরের টার্নওভারের সমান।
সরকারকে এখনই বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত বলে মনে করেন ব্যবসায়ী নেতারা।