কারিগরী পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে আগামী শনিবার থেকে মেট্রোরেল চালুর কথা থাকলেও সেটি হচ্ছে না।
মেট্রোরেল চালুর জন্য কারিগরি পরীক্ষা-নিরীক্ষা এখনও শুরু না হওয়ায় এদিন থেকে চলাচল শুরু হচ্ছে না বলে বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) জানিয়েছে।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের আন্দোলনকালে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ১৮ জুলাই বিকালে বন্ধ হয়ে যায় মেট্রোরেল। পরের দিন মেট্রোরেলের কাজীপাড়া ও মিরপুর ১০ স্টেশনে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। হামলা চালানো হয় পল্লবী ও ১১ নম্বর স্টেশনেও।
গণআন্দোলনে সরকারপতনের প্রেক্ষাপটে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্বগ্রহণ করার পর দ্রুত মেট্রোরেল চালুর তাগাদা দেওয়া হয়।
গত ১১ অগাস্ট মেট্রোরেল পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন, মেট্রোরেল পুরোদমে চালুর আগে পরিস্থিতি যাচাই-বাছাইয়ে সোম ও মঙ্গলবার থেকে সপ্তাহজুড়ে মেট্রোরেল পরীক্ষামূলকভাবে চালানোর প্রস্তুতি চলছে। আর পরীক্ষামূলক চলাচল শেষে শনিবার থেকে তা চালু করতে কর্মীদের নির্দেশনা দেওয়া হয়।
কিন্তু ডিএমটিসিএলের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “অনিবার্য কারণে মেট্রোরেল পুনরায় চালু করার জন্য প্রয়োজনীয় কারিগরি পরীক্ষা-নিরীক্ষা এখনও শুরু করা সম্ভব হয়নি। মিরপুর-১০ এবং কাজীপাড়া স্টেশন ছাড়া অন্য ১৪টি স্টেশন চালু করে মেট্রোরেল পুনরায় চালানোর জন্য মেট্রোরেল সিস্টেম ও মেট্রো ট্রেনে যাতায়াতকারী যাত্রীদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করাও আবশ্যক।”
ঢাকায় প্রথম মেট্রোরেল চালু হওয়ার পর থেকে বেশ কয়েকবার নানা কারণে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়েছে। তবে মেট্রোরেল ভাঙচুর ও অগ্নি সংযোগের ঘটনা এবারই প্রথম।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২২ সালের ২৮ ডিসেম্বর মেট্রোরেলের উত্তরা থেকে আগারগাঁও অংশ উদ্বোধন করেন। পরের বছরের ৪ নভেম্বর উদ্বোধন করা হয় আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশ।
এ বছরের শেষ দিন উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ১৬টি স্টেশনের সবগুলোই খুলে দেওয়া হয়। মতিঝিল থেকে কমলাপুর অংশের কাজ এখনও চলমান।