বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা সপ্তাহব্যাপী ‘রেজিস্ট্যান্স উইক’ এর অংশ হিসেবে রাজপথে নামেন চট্টগ্রামের সরকারি বেসরকারি স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ছাত্র জনতার বিপ্লবে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ১৫ আগস্টকে কেন্দ্র করে প্রতি বিপ্লবের গুঞ্জন উঠে চারদিকে। তাই প্রতি বিপ্লব রুখে দিতে রাজপথে ছাড়েননি চট্টগ্রামে শিক্ষার্থীরাও।
বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) সকাল ১০টা থেকে নগরীর নিউমার্কেট মোড়ে অবস্থান নেয় ছাত্রজনতা। এ সময় স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে চট্টগ্রামের রাজপথ।
সকাল থেকেই নগরীর বিভিন্ন স্থান থেকে শিক্ষার্থীরা মিছিলে মিছিলে নিউ মার্কেট মোড়ে জমায়েত হতে থাকেন। শেখ হাসিনার বিচারসহ চার দফা দাবিতে শুক্রবার থেকে এই কর্মসূচি পালন করছে শিক্ষার্থীরা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক রাসেল আহমেদ বলেন, শত শত ভাইয়ের রক্তের বিনিময়ে ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন ঘটলেও স্বৈরাচারের দোসরা এখনো ওত পেতে আছে। সব ধরনের ষড়যন্ত্র রুখে দিতে ছাত্রসমাজ প্রস্তুত আছে। আমার ভাইদের রক্ত বৃথা যাবে না। আমাদের এই বিপ্লব চলছে চলবে। ছাত্র জনতার বিপ্লব যাতে বেহাত না হয় সেজন্য সবাইকে সদা প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান তিনি।
শিক্ষার্থীদের চারদফা -
১. ফ্যাসিবাদী কাঠামোকে ব্যবহার করে ফ্যাসিস্ট হাসিনা এবং তার দল ও সরকার যে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে, সেগুলোর দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন।
২. সংখ্যালঘুদের ওপর আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী মহাজোটের শরিক দলগুলোর পরিকল্পিত হত্যা, ডাকাতি ও লুণ্ঠনের মাধ্যমে গণ-অভ্যুত্থানকে বিতর্কিত করার প্রচেষ্টায় অংশগ্রহণকারীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে এবং সংখ্যালঘুদের ন্যায্য দাবি মেনে নিতে হবে।
৩. প্রশাসন ও বিচার বিভাগে যারা ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হামলা, মামলা, এবং হত্যাযজ্ঞকে বৈধতা দিয়েছে এবং ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা বারংবার কায়েমের চেষ্টা করছে, তাদের দ্রুততম সময়ে অপসারণ ও নূতন সরকারে তাদের নিয়োগ বাতিল করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।
৪. প্রশাসন ও বিচার বিভাগে যারা এতদিন বৈষম্যের শিকার হয়েছে, তাদের জন্য দ্রুততম সময়ে সুযোগের সমতা নিশ্চিত করতে হবে।
সূত্র: ডেইলি-বাংলাদেশ