অন্তর্বর্তী সরকারের ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা আ খ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, বিভিন্ন সময় অনিয়মের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে প্রায় ৫০টি হজ এজেন্সির লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। আমরা এ বিষয়ে খুবই সোচ্চার।
তিনি বলেন, মানুষ যাতে সহজে হজ করতে পারে, সেখানে গিয়ে কষ্টের সম্মুখীন না হয়, সেই বিষয়ে কাজ করছি।
সোমবার সচিবালয়ে সাংবাদিকেদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় এসব কথা বলেন খালিদ হোসেন।
তিনি বলেন, যারা বিভিন্নভাবে অনিয়মের সঙ্গে জড়িত তাদের শাস্তির আওতায় আনার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। একইসঙ্গে মানুষ যাতে হজ করতে গিয়ে প্রতারণার শিকার না হয় এজন্যও বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, হজযাত্রী পরিবহনে ভাড়া নির্ধারণ করে বাংলাদেশ বিমান। হাজিদের পরিবহন খরচ কমানোর জন্য কীভাবে কাজ করা যায় সে বিষয়েও বিমানের সঙ্গে কথা বলা হবে।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, দেশে অনেক হজ এজেন্সি রয়েছে যারা হাজিদের সুন্দর সেবা দিয়ে থাকে। একইসঙ্গে কিছু এজেন্সি রয়েছে যারা মানুষকে কষ্ট দিয়ে থাকে। আমরা এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় শাস্তি মূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।
তিনি বলেন, আমরা তিনটি এয়ারলাইন্স এর মাধ্যমে হজযাত্রীদের পরিবহন করে থাকি। এর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ বিমান, সৌদি এয়ারলাইন্স ও নাছ এয়ারলাইন্স। সৌদি সরকার কর্তৃক অনুমোদিত তিনটি এয়ারলাইন্স হজযাত্রীদের পরিবহন করে থাকে। এই পদ্ধতি থেকে বের হয়ে আসা যায় কিনা তা নিয়ে সৌদি সরকারের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, সৌদি এয়ারলাইন্স এবং নাস এয়ারলাইন্স সৌদি আরবের প্রতিষ্ঠান। আর বিমান বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠান। এ বিষয়টা পরিবর্তন করতে হলে সৌদি সরকারের অনুমতি দরকার। হজযাত্রী পরিবহনে চতুর্থ কোনো পরিবহন বা বিমান কোম্পানি ব্যবহার করা যায় কিনা এ বিষয়ে সৌদি সরকারের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে।
তিনি বলেন, দেশে অনেকগুলো ওয়াকফ প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এ প্রতিষ্ঠান বিভিন্নভাবে দখল হয়ে আছে। এসব প্রতিষ্ঠান দখলমুক্ত করার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। কেউ যদি অবৈধভাবে এসব প্রতিষ্ঠান দখল করে থাকে তা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় দখলমুক্ত করার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
তিনি আরো বলেন, দেশে সুশাসন নিশ্চিত করতে চাই। একইসঙ্গে দুর্নীতিমুক্ত সমাজ উপহার দিতে চাই।