কক্সবাজারের উখিয়া গার্লস স্কুল সংলগ্ন শাহ আলমের মালিকানাধীন বাস ভবনে চিহ্নিত দুষ্কৃতিকারী কতৃক অগ্নি সংযোগ


কক্সবাজারের উখিয়া গার্লস স্কুল সংলগ্ন শাহ আলমের মালিকানাধীন বাস ভবনে চিহ্নিত  দুষ্কৃতিকারী কতৃক  অগ্নি সংযোগ, হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের  ঘটনা ঘটেছে। ন্যাক্কারজনক ও বর্বরোচিত ঘটনায় নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার মূল্যমান মালামাল  লুটপাট সহ প্রায় ৩০ লাখ টাকার মত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার। 

গত ৬ ( আগষ্ট) ৫টা ৪০ মিনিটে  প্রকাশ্য অস্ত্র নিয়ে গুলিবর্ষণ ও এলাকায় ভিতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে  এ ঘটনাটি সংগঠিত করেছে।  

এলাকাবাসীরা জানান, রাজা পালং  ইউনিয়নের মৃত শফর মুল্লুকের ছেলে ও নুরল আলম সওদাগরের ছোট ভাই শাহ আলমের মালিকানাধীন একটি বহুতল বাসভবন রয়েছে। উখিয়া গার্লস স্কুল সংলগ্ন  বাসভবনে একটি ফ্ল্যাটে স্বপরিবার বসবাস করলেও অপর দুটি ফ্ল্যাটে দুটি এনজিওর অফিস রয়েছে। 

ক্ষতিগ্রস্ত শাহ আলম (৬০)অভিযোগ করে বলেন , জায়গা জমি বিরোধের জের ধরে রাজা পালং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মেম্বার সালাউদ্দিনের নেতৃত্বে  সশস্ত্র ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী নিয়ে  আমার বাসভবনে অগ্নিসংযোগ সহ হামলা চালায়। তিনি বলেন প্রকাশ্য গুলি বর্ষন করে বাসভবনে ঢুকে প্রতিটি রুম ভাঙচুর ও তছনছ করে নগদ ৫ লাখ টাকা, ১৭ ভরি স্বর্ণালংকার ও কম্পিউটার ল্যাপটপ ফ্রিজ সহ মূল্যবান মালামাল লুটপাট করে  নিয়ে যায়। ধ্বংসাত্বক মূলক এ ঘটনায় ৩০/৩৫ টাকার মত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে । 

তিনি অভিযোগ করে আরো বলেন, প্রত্যেক সন্ত্রাসীদের হাতে কাটা রাইফেল ও ধারালো কিরিচ সহ দেশীয় ভয়ংকর অস্ত্র ছিল। নেতৃত্বদানকারী আওয়ামী লীগ নেতা  মেম্বার সালাউদ্দিন, তার ভাই মিজান টিটু  ভাগিনা সাদেক ও তারেকের নেতৃত্বে ভাড়াটিয়া  সন্ত্রাসী দল সেদিন আমাকে হত্যার পরিকল্পনা নিয়েছিল। আল্লাহর হুকুমে আমি বেঁচে যায়। 

বড় ভাই মোহাম্মদ আলম (৬৪)  জানান, ভাঙচুর লুটপাট ও হামলা শেষে পেট্রোল দিয়ে  বাসভবন ও গোডাউনে অগ্নিসংযোগ করে  দুর্বৃত্তরা। খবর পেয়ে ফায়ার  সার্ভিস দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণা আনলেও   ফার্নিচার ও আসবাবপত্র রাখা গোডাউন টি সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। জায়গা জমি ও  বিরোধের জের ধরে প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে আক্রোশ মূলক অগ্নিসংযোগ  ভাঙচুর  ও লুটপাটের ঘটনাটি সংঘটিত করেছে। 

শাহ আলমের স্ত্রী  হামিদা বেগম (৪৫) জানান, অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা দরজা ভেঙ্গে রুমে ঢুকে তাকে গলায় ধারালো কিরিচ ও অস্ত্র ধরে জিম্মি করে চাবি নিয়ে আলমারি খুলে তার ৮ ভরি ও পুত্রবধূর ৯ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়। ওই সময় বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে আমার ছেলে ঢাকা কলেজের ছাত্র ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সক্রিয় সদস্য তানভীর মাহাতাব নাবিল (১৯) কে কিরিচ দিয়ে কুপিয়ে আহত করে। 

ভাতিজা হেলাল উদ্দিন (৪২) অভিযোগ করে বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা মেম্বার সালাউদ্দিন ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে এ ঘটনার  আগেও উখিয়া উপজেলা গেইটে আমাদের পরিবারের দোকানপাট ভাঙচুর ও জায়গা জমি জবর দখল করে রেখেছে। ওই সময় বাধা দিতে গিয়ে আমার চাচা ও ভাতিজাকে  এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। তিনি আরো বলেন সালা উদ্দিন  মেম্বারের বাড়িতে হামলা করছি মর্মে আমাদের পরিবারের  বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রপাগান্ডা ও গুজব ছড়িয়ে পরিকল্পিতভাবে চাচা শাহ আলমের বাসভবনে অগ্নিসংযোগ সহ ধ্বংসলীলা চালিয়েছে।

দেখা গেছে, উক্ত বাসভবনের প্রতিটি ফ্লাটের প্রত্যেক রুমের আয়নার গ্লাস ভাঙচুর, তছনছ মালামাল লুটপাট সহ আসবাবপত্র ও ফার্নিচার ব্যাপক ভাবে ক্ষতি সাধন করে দুর্বৃত্তরা। 

ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা  অভিযোগ করে জানান আওয়ামী লীগ নেতা সালাউদ্দিন মেম্বার তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে  এখনো নানা ধরনের  হুমকি-ধমকি দিয়ে যাচ্ছে। জীবনে নিরাপত্তা সহ জবরদখল হওয়া জায়গা জমি উদ্ধারের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।