সুনামগঞ্জ ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের অফিস সহকারী মো. ফাহিম মিয়াকে ঘুষের টাকাসহ হাতেনাতে ধরেছে শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) বিকেলে তাকে আটক করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে ঐ কর্মচারী জানান, ঘুষের টাকার মাসোয়ারা প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তাদের দেওয়া হয়ে থাকে।
শিক্ষার্থী নিহাল জানান, এক ভোক্তভোগীর তথ্যের ভিত্তিতে হাজিপাড়াস্থ ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের অফিসে ঘুষ নেয়ার সময় হাতেনাতে ধরা হয় অফিস সহকারী মো. ফাহিম মিয়াকে। তার কাছ থেকে ড্রাগ লাইন্সেস দেওয়া সংক্রান্ত বিভিন্ন অনিয়মের নথিপত্র উদ্ধার করা হয়েছে। প্রতিমাসে তিনি কাদের মাঝে ঘুষের টাকা বণ্টন করতেন সেই তালিকাও উদ্ধার করা হয়েছে।
অফিস সহকারী মো. ফাহিম মিয়া জানান, ড্রাগ লাইন্সেস আবেদন করতে হলে ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা ঘুষ দিতে হয়। ২০২০ সাল থেকে ১২২ জনের কাছ থেকে ঘুষ নিয়ে লাইন্সেস প্রদান করা হয়েছে। অফিস তল্লাশি করে এ সংক্রান্ত বিভিন্ন নথিপত্র উদ্ধার করে শিক্ষার্থীরা।