ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন শোবিজের বহু চেনা মানুষ। তাদের মধ্যে অনলাইন ও অফলাইনে সরব ভূমিকায় দেখা গেছে অভিনেত্রী মুমতাহিনা টয়াকেও। সরকার পতনের পর অন্যান্যদের মতো নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেন তিনিও।
তবে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর কিছু অনাকাঙ্খিত জিনিস দেখে দুঃখও পেয়েছেন এই অভিনেত্রী। কিছুটা আক্ষেপ প্রকাশ করে বলেছেন,“বাক স্বাধীনতার জন্য লড়াই হলো কিন্তু প্রয়োগ করা এখনও যাচ্ছে না।”
নিজের অবস্থান জানিয়ে শুক্রবার এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে টয়া লিখেন,“আমি ভাই অনলাইনে শো অফ করে আন্দোলন করি নাই। রাস্তায় অনেক আগে থেকেই ছিলাম। আমি অত বড় কেউ না তাই অত বেশি কভারেজ পাই নাই।”
সরকার পতনের আগে কিংবা পরে, ব্যক্তি জীবনে অন্যায়কে প্রশ্রয় দেননি জানিয়ে অভিনেত্রী লিখেন,“যেটা অন্যায় সেটাকে অন্যায় বলেছি এবং বলছি।”
নতুন সরকারের সময়ে সমালোচনার দ্বার উন্মোচন রাখার দাবীও আছে এই অভিনেত্রীর কথায়। তিনি লিখেন,“একটা কথা ৫ তারিখের আগে বলেছি এখনও বলছি ‘সমালোচনা করলেই সে ঐ দলের লোক বা সেই দলের লোক, দালাল, চামচা এই সব বলা বন্ধ করতে হবে’। ১৬ বছর বলি নাই এটা আমাদের বড় ভুল। আজকে থেকে এ ভুল শুধরাতে চাই। গঠনমূলক আলোচনা ও সমালোচনা শিখতে এবং করতে চাই।”
ফেসবুকে এ কথাগুলো স্ট্যাটাস দিয়ে কেন বললেন, এ নিয়ে পরে একটি সংবাদমাধ্যমকে টয়া বলেন, “ভিন্নমতের মানুষকে দমন করার একটা মানসিকতা দেখেছি, যা থেকে আমরা মুক্ত হতে চেয়েছি। এ জন্যই সকালে ফেসবুকে লিখেছি, ‘একজন মিলেনিয়াল থেকে একজন জেন–জিকে একটা পরামর্শ, লেবু বেশি কচলালে তিতা হয়ে যায়।’ ওই পোস্টের নিচে আমাকে ও আমার পরিবারকে নিয়ে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করা হলো। সবকিছু মিলিয়ে লেখা।”
সামাজিক মাধ্যমে অনেকেই বলছেন যে সমালোচনা আরও কিছুদিন পর করলে ভালো হতো। এই প্রশ্নের উত্তরে টয়া বলেন, “সমস্যার কথা শুরু থেকেই বলতে হবে। কারণ, ভুল শোধরানোর এখনই সময়। তাই প্রথম দিন থেকেই বলার মানসিকতা থাকতে হবে। অনেকেই বলছেন, আপনারা ১০ দিন, ১৫ দিনও সময় দিচ্ছেন না, অথচ ১৫ বছর ধরে ওদের সহ্য করছেন, দালালি করছেন! ওদের পক্ষে ছিলেন। এটা আসলে ১০ কিংবা ১৫ দিনের ব্যাপার নয়, আমাদের মধ্যে যে হিংসাত্মক মনোভাব এখনো আছে, ওটাকে কীভাবে নিয়ন্ত্রণে আনতে পারি, সেটা নিয়ে ভাবা উচিত।”