খাদ্য মূল্যস্ফীতি সর্বোচ্চ পর্যায়ে ঠেকেছে


দেশের মানুষের খাদ্যপণ্য কিনে খাওয়াই মানুষের ক্রয় সীমার বাইরে। উচ্চ মূল্যস্ফীতি গত দুই বছর ধরে বাংলাদেশের অর্থনীতির বড় সংকটগুলোর একটি। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাইয়ে মূল্যস্ফীতি প্রথমবারের মতো দুই অঙ্ক টপকে এখন ১১ দশমিক ৬৬ শতাংশ, যেখানে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১৪ দশমিক ১ শতাংশ। এটি গত ১৬ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে ঠেকেছে।


সোমবার ১২ আগস্ট বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) নিয়মিত হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করেছে।


আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এ প্রথম মূল্যস্ফীতির তথ্য দিয়েছে বিবিএস। সেখানে বলা হয়েছে: দেশের গড় মূল্যস্ফীতি ১১ দশমিক ৬৬ শতাংশ। আর খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১৪ দশমিক ১ শতাংশ, খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৬৮ শতাংশের মধ্যে রয়েছে।


এর আগে ২০০৭-০৮ অর্থবছরে তত্ত্ববধায়ক সরকারের শাসনামলে ২০০৫-০৬ কে ভিত্তিবছর ধরে দেশের গড় মূল্যস্ফীতি ঠেকেছিল ১২ দশমিক ৩ শতাংশ, আর খাদ্য মূল্যস্ফীতি ঠেকেছিল ১৬ দশমিক ৭২ শতাংশে।


বিবিএসের তথ্য বলছে, জুলাই মাসে শহরের তুলনায় গ্রামের মানুষের কষ্ট হয়েছে সবচেয়ে বেশি। এ মাসে গ্রামের মূল্যস্ফীতি ছিল ১১ দশমিক ৮৯ শতাংশ, যেখানে শহর এলাকায় গড় মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ১১ দশমিক ২৭ শতাংশে।


তবে গ্রাম এলাকায় গড় মূল্যস্ফীতি বেশি থাকলেও খাদ্য মূল্যস্ফীতি শহর এলাকায় ছিল সবচেয়ে বেশি। গ্রাম এলাকায় খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ১৪ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ, যেখানে শহর এলাকায় খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ১৪ দশমিক ২২ শতাংশ।