গত ১৫ বছরে দেশ থেকে পাচার হয়েছে অন্তত ১১ লাখ কোটি টাকা। আমদানি ও রপ্তানির আড়ালে দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রভাবশালী মন্ত্রী-এমপি এবং আমলারাই পাচার করেন বিপুল পরিমাণ অর্থ যা দিয়ে তৈরি করা যেত ৩৫টি পদ্মা সেতু। অন্তবর্তীকালীন সরকার চাইলে আন্তর্জাতিক আইন মেনে এসব অর্থ ফেরত আনার পাশাপাশি অর্থপাচারকারীদের বিচার করতে পারে বলে জানিয়েছেন বিশ্লেষকরা।
দেশ থেকে টাকা পাচারের ইতিহাস নতুন না হলেও অতীতের সব রেকর্ড ভেঙেছে গত ১৫ বছরে। গ্লোবাল ফিনান্সিয়াল ইন্টেগ্রিটি-জিএফআই রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০০৯ থেকে ১৫ সাল পর্যন্ত ৭ বছরে পাচার হয়েছে প্রায় পাঁচ লাখ কোটি টাকা। পরের ৮ বছরে প্রতিবছর গড়ে ৭৫ হাজার কোটি টাকা করে আরও ৬ লাখ কোটি টাকা পাচার করেছে প্রভাবশালীরা। যার বড় অংশ গেছে কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র, সিঙ্গাপুর, যুক্তরাজ্য ও আরব আমিরাতসহ ১০টি দেশে।
এদিকে, বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচারের তথ্য জেনেও নীরব ছিলেন আওয়ামী লীগ সরকারের নীতি-নির্ধারকরা। পাচারকৃত অর্থ ফেরতের চেষ্টা দূরে থাক পাচারকারীদের নাম জানারও চেষ্টা করেননি সরকারের মন্ত্রীরা।
বিশ্লেষকরা বলছেন, আন্তর্জাতিক আইন-কানুন মেনেই দেশে ফেরত আনা সম্ভব পাচার হওয়া টাকা। সেইসঙ্গে সরকার চাইলে কারসাজির মূল হোতাদের ফেরাতেও মিলবে আন্তর্জাতিক সহায়তা। সুইস ব্যাংকসহ বিভিন্ন বিদেশি ব্যাংকে কার কত টাকা রয়েছে সেই তথ্য জানতে সরকারকে উদ্যোগী ভূমিকা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশ্লেষকেরা।