আশুলিয়ায় সাবেক দুই এমপি ও তিন চেয়ারম্যানসহ ১১৯ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা



বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-জনতাকে পিটিয়ে ও গুলি করে হত্যার দায়ে ঢাকা-১৯ আসন (সাভার-আশুলিয়া)‘র সাবেক সংসদ সদস্য মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ও তৌহিদ জং মুরাদসহ ১১৯ জনের বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় আরও অনেককে অজ্ঞাতনামা আসামী করা হয়েছে।


শনিবার (১৭ আগস্ট) সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেন আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ এএফএম সায়েদ। 


এর আগে শুক্রবার (১৬ আগস্ট) রাত সাড়ে ১১ টার দিকে মামলাটি দায়ের করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আশুলিয়ার বাইপাইলে নিহত আস-সাবুরের চাচাতো ভাই সাহিদ হাসান ওরফে মিঠু।


নিহত আস-সাবুর (১৬) নওগাঁ জেলার মহাদেবপুর থানাধীন মহাদেবপুর গ্রামের এনাফ নায়েদ ওরফে জাকিরের ছেলে। সে আশুলিয়ার জামগড়া এলাকায় পরিবারের সাথে ভাড়া বাসায় থেকে শাহীন স্কুলের ১০ম শ্রেণীতে পড়াশোনা করতো বলে জানা যায়।


মামলার অন্যান্য আসামিদের মধ্যে রয়েছে, আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফারুক হাসান তুহিন, পাথালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পারভেজ দেওয়ান, আশুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাহাবউদ্দিন মাদবর, ইয়ারপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুমন আহম্মেদ ভূঁইয়া ও তার বোন জামাই রুবেল আহমেদ ভুঁইয়া ওরফে জামাই রুবেল, সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলী হায়দার, আশুলিয়া থানা যুবলীগের আহ্বায়ক কবির হোসেন সরকার এবং যুগ্ম-আহবায়ক মঈনুল ইসলাম ভুইয়া সহ ১১৯ জনের নাম।


মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ৫ আগস্ট বেলা ১১ টার দিকে আস-সাবুর নিজের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনাকাটা করার জন্য তাদের ভাড়া বাসা জামগড়ার শিমুলতলা থেকে বাইপাইলে যায়। দুপুর ২ টার দিকে মামলার বাদী খবর পান তার ভাই আস-সাবুর মৃত অবস্থায় বাইপাইল মোড়ে পড়ে আছে। এমন খবরে লোকজন নিয়ে বাইপাইল মোড়ে গিয়ে তার ভাইয়ের ক্ষত-বিক্ষত নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের সন্ত্রাসীরা তাকে পিটিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।


আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ এএফএম সায়েদ জানান, শুক্রবার রাতে ১১৯ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।


প্রসঙ্গত, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আশুলিয়ার বাইপাইল মোড় এলাকায় গত ৪ ও ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের হামলায় ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও গুলিবিদ্ধসহ আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে আরো অনেকে।