বর্তমান পরিস্থিতিতে ঘিরে অসংখ্য ভুয়া সমন্বয়ক তৈরি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম। এসব ভুয়া সমন্বয়কের মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা চলছে বলেও অভিযোগ তার।
আজ শুক্রবার (১৬ আগস্ট) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অমর একুশে হল প্রাঙ্গণে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ অভিযোগ করেন।
সারজিস আলম বলেন, ‘আমরা ৫ আগস্টের পর কোনো কমিটিই দিইনি। এখন অসংখ্য ভুয়া সমন্বয়ক তৈরি হয়েছে। তারা হয়ত ব্যক্তিগত স্বার্থ অথবা রাজনৈতিক সিদ্ধিসাধন বা দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্যই এসব করছে। ’
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতা থেকে পতনের পর পর বিশাল একটি সুবিধাবাজ গোষ্ঠী, যারা আগে ছিল ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামী লীগ; তারা নতুন রূপ ধারণ করেছে ভুয়া আন্দোলনকারী, সমন্বয়ক হয়ে উঠেছে। তারা তাদের জায়গা থেকে বিভিন্ন কমিটি তৈরি করছেন।
প্রমাণ দিতে গিয়ে সারজিস বলেন, ‘আমরা এমন খবরও পেয়েছি যে, উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টরে নাকি একটি কমিটি হয়েছে, যারা মসজিদে গিয়ে মসজিদ কমিটিকে পদত্যাগ করতে বলেছে। অথচ আমরা আমাদের জায়গা থেকে শুধু বিশ্ববিদ্যালয় বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানভিত্তিক কমিটি দিয়েছিলাম। ব্যক্তিগত উদ্দেশ্য এবং কিছু রাজনৈতিক উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য এই মানুষগুলো এমন কিছু কাজ করছে, যা অপ্রত্যাশিত। অন্তর্বর্তী সরকার একটি স্থিতিশীল অবস্থায় আসার পর আমরা এই প্ল্যাটফর্মটির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব। ’
সারজিস স্পষ্ট করে বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এ ধরনের কোনো কিছুকে প্রমোটই করে না যে কেউ একজন কোনো একটি হোস্টেলে গিয়ে সার্চ করবে, কোনো একটি আবাসিক হোটেলে যাবে, কোনো একজন অধ্যাপককে জোর করে নামিয়ে দেবে। আমরা এগুলো সমর্থন করি না। আমরা কোনো অথরিটি নই। ’
উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীর দিনে শোক জানাতে ধানমন্ডি-৩২ নম্বরে গিয়ে বিপাকে পড়েন কয়েকজন আওয়ামী লীগ সমর্থক। সেখানে বেশ কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে।
শোক জানাতে যাওয়া ব্যক্তিদের ফোন চেক ও তাদের মারধর করার মতো অভিযোগ উঠেছে। বিশেষ করে এক ব্যক্তিকে বিবস্ত্র করে রিকশায় চড়িয়ে ঘোরানোর একটি একটি ভিডিও এখন ভাইরাল। যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিন্দা জানিয়েছেন অনেকে।
এ বিষয়ে সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, ‘এগুলো কোনোভাবেই আইনসংগত নয়। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে যা করা প্রয়োজন, একটি প্রেশার গ্রুপ হিসেবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সেই কাজটি করবে। আমাদের যে দুজন ছাত্র-প্রতিনিধি অন্তর্বর্তী সরকারে আছেন, তাদের মাধ্যমে যেভাবে বিচার নিশ্চিত করা যায়, আমরা সেই কাজটি করব। ’