গাইবান্ধা হিসাবরক্ষণ অফিসের আউটসোর্সিং কর্মী সাকিউল ইসলামের বিরুদ্ধে ঘুষ নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ অনুযায়ী, তিনি জমি অধিগ্রহণের চেক ছাড় করার জন্য একাধিক সুবিধাভোগীর কাছ থেকে অর্থ গ্রহণ করেছেন।
সম্প্রতি তার টাকা লেনদেনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়, যা দ্রুতই জনসাধারণের নজরে আসে। ভিডিওতে দেখা যায়, সাকিউল ইসলাম ভুক্তভোগীর কাছ থেকে টাকা নিয়ে গুনে পকেটে রাখছেন। এই ঘটনার পর সাধারণ মানুষের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।
অভিযুক্ত সাকিউল ইসলাম অবশ্য বলেছেন, তিনি এ টাকা একা নেন না। তার ভাষ্য অনুযায়ী, তিনি সমুদয় টাকা অফিস শেষে কে এম মোস্তফা হাবিবকে বুঝিয়ে দেন। সেখান থেকে তিনি শুধু চা খাওয়ার টাকা পেয়ে থাকেন।
তিনি আরো বলেন, আমি ছোট চাকরি করি। আমি শুধু হুকুম পালন করি। কোনো ধরনের দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত নন বলেও তিনি দাবি করেন।
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বুজরুক বোয়ালিয়া গ্রামের মিলন নন্দী নামে এক ভুক্তভোগীর সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। তিনি বলেন, এই অফিসে যেকোনো কাজ করতে গেলেই টাকা লাগে। আমি জমি অধিগ্রহণের চেক ছাড় করার জন্য দুইদিন এই অফিসে ঘুরেছি। শেষ পর্যন্ত অফিসের সাকিউলকে টাকা দিয়ে চেক ছাড় করে নিয়েছি।
গাইবান্ধা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইদ্রিসউজ্জামান মোনা জানান, এমন অভিযোগের বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্ত করে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন। যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে।
গাইবান্ধা হিসাবরক্ষণ অফিসের প্রধান কর্মকর্তা মো. মসিহাজ্জামান বলেন, দেখেন আমাদের এখানে এটা হয়ে থাকে। একদম তো আর ভালো হয়ে চলা যায় না। তবুও আপনারা যেহেতু বললেন, আমি বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখব।
তিনি আরো বলেন, আপনারা যার কথা বললেন, সে (সাকিউল) আউটসোর্সিং কর্মী। আমি ঘটনাটি নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।