শাড়ী পরে লাস্যময়ী হাসিতে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের কাজ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রীতিমতো ভাইরাল তরুণীর পরিচয় জানা গেছে। তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী আদিবা নওমী। গত সপ্তাহে রাজধানীর মিরপুর এলাকায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে কাজ করতে দেখা গেছে ওই শিক্ষার্থীকে।
সম্প্রতি রাজধানীর মিরপুর এলাকায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণের একটি ভিডিও ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। যা মন কেড়ে নেয় নেটিজেনদের অনেকের। ভিডিওটিতে দেখা যায়, রাস্তার মাঝখানে দাঁড়িয়ে এক হাতে লাঠি ও কাঁদে ব্যাগ নিয়ে চোখে চশমা পরে গলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্ড ঝুলিয়ে গাড়ির লেন ঠিক রাখতে ব্যস্ত এক শিক্ষার্থী।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) তার ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের কয়েক সেকেন্ডের একটা ভিডিও ফেসবুকে দেয়া মাত্রই ভাইরাল হয়ে যায় ভিডিওটি। ভিডিওতে দেখা যায় সড়কের পরিবহনগুলোকে নির্দেশনা দিচ্ছেন যেখানে সেখানে না দাঁড়ানোর। ট্রাফিক আইন মানতে বাধ্য করছেন জনসাধারণকে।
আরও পড়ুন : মধ্যরাত থেকে ভোর পর্যন্ত চলবে মহাজাগতিক বিরল ঘটনা
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সরকার পতনের পর পুলিশের অনুপস্থিতিতে শুধু আদিবা ই নন, রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন বিভিন্ন স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলে ও মেয়ে শিক্ষার্থীরা।
শাড়ি পরে সড়কে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করে ভাইরালের ব্যাপারে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলকে সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, আমি ভাইরাল হবো এমন আশায় কাজ করি নাই, স্বাভাবিকভাবে কাজ করছিলাম। শাড়ি পরে যাওয়াতেই ভাইরাল হয়ে যাব বিষয়টি ভাবিনি। সবসময় শাড়ি পরা হয় না বিশেষ অনুষ্ঠান থাকলে পরা হয়। তিনি আরও বলেন, সহিংস পরিস্থিতির জেরে পুলিশ সদস্যরা বিভিন্ন দাবি জানিয়ে কর্মবিরতিতে চলে যাওয়ার ফলে দেশের ট্রাফিক ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছিল। তাই নিজের এলাকার সড়কের শৃঙ্খলা বজায় রাখতে শিক্ষার্থীদের নিয়ে পথে নেমেছিলাম। এমন ভালো কাজে সবার এগিয়ে আসা উচিত।
এছাড়া শাড়ি পরে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালনকে ভিন্নভাবে দেখার সুযোগ নেই। শাড়ি বাঙালি নারীর ভূষণ। একটি মেয়ে যেভাবে সালোয়ার-কামিজ পরে সব কাজ করতে পারেন, একইভাবে একই কাজ শাড়ি পরেও করতে পারেন। আমাদের মায়েরা বেশির ভাগ সময়ই শাড়ি পরেন।