‘ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ বাহিনী চিরজীবী হোক’ বলে স্লোগান দিলেন নেলসন ম্যান্ডেলার নাতি

 

ইয়েমেনের সানা শহরে আয়োজিত এক সম্মেলনে ‘ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ বাহিনী’ চিরজীবী হোক বলে স্লোগান দিয়েছেন নেলসন ম্যান্ডেলার নাতি জুয়েলভেলিল ম্যান্ডেলা। এদিন, সানায় ‘ফিলিস্তিন, জাতীয় কেন্দ্রিক ইস্যু’ শিরোনামে আয়োজিত তৃতীয় আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বক্তৃতা দেওয়ার সময় তিনি আরও বলেন, লেবানন ও ফিলিস্তিনের পক্ষের অন্যান্য প্রতিরোধ বাহিনীগুলোও চিরজীবী হোক। ম্যান্ডেলা বলেন, লেবাননের প্রতিরোধ বাহিনী ও অন্যান্যরা ফিলিস্তিনের জন্য লড়াই করছে। অতএব, আগ্রাসন ও দখলদারিত্ব ফিলিস্তিনিদের দমিয়ে রাখতে পারবে না।


যদিও, ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত এসব গোষ্ঠীগুলোকে বেশ কিছু দেশ, যেমন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ও অন্যান্য দেশের পক্ষ থেকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে, তাদের প্রতি অগাধ সমর্থন প্রকাশ করেছেন জুয়েলভেলিল ম্যান্ডেলা। ৪ দিনের এই সম্মেলনটি শুরু ২৩ মার্চ। জুয়েলভেলিল ম্যান্ডেলার এই বক্তব্যের একটি ভিডিও ফুটেজ সম্প্রতি প্রকাশ করেছে রয়টার্স।


সম্মেলনে নেলসন ম্যান্ডেলার নাতি ও সাউথ আফ্রিকার পার্লামেন্ট সদস্য জুয়েলভেলিল ম্যান্ডেলা তার বক্তৃতা শুরু করেন নদী থেকে সাগর পর্যন্ত ফিলিস্তিনের মুক্তির স্লোগান দিয়ে। তিনি সম্মেলনের আয়োজকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, সানায় উপস্থিত থেকে প্রকৃত বিশ্বাস ও অটুট শক্তির অনুভূতি বোঝার সুযোগ পাওয়া তার কাছে বেশ সম্মানের। তিনি আরও বলেন, তারা ইয়েমেনের মানুষদের নিয়ে গর্বিত ও পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এই সম্মেলনে একত্রিত হতে পেরে আনন্দিত।


ম্যান্ডেলা আরও উল্লেখ করেন, এই আন্তর্জাতিক সম্মেলন ফিলিস্তিনের উল্লেখযোগ্য দিকগুলো সামনে নিয়ে এসেছে। তিনি বলেন, শত্রুর প্রচারণা মোকাবেলা করতে ও ফিলিস্তিনের পক্ষে শক্তিশালী আন্তর্জাতিক সমর্থন ও সংহতি গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।


এদিন, বিশ্বের সব সক্রিয় কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ম্যান্ডেলা বলেন, তারা যেন ফিলিস্তিনের পক্ষে তাদের প্রচেষ্টাকে আরও বৃদ্ধি করেন। পাশাপাশি, ডিজিটাল ইন্তিফাদাকে আরও শক্তিশালী করে তোলেন ও শত্রুর মিডিয়া সিস্টেমগুলোর অপতত্পরতা জনসমক্ষে নিয়ে আসতে কাজ করেন। এছাড়া তিনি আরও বলেন, কোনও হুমকি বা ভয় দেখিয়ে সাউথ আফ্রিকাকে ফিলিস্তিনের বিরুদ্ধে গিয়ে আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালতে মামলা প্রত্যাহার করতে বলা যাবে না।

২০২৪ সালে ফিলিস্তিনের সমর্থনে আয়োজিত একটি ইভেন্টে বক্তৃতা দেওয়ার জন্য ব্রিটেনে যাওয়ার অনুমতি পাননি ম্যান্ডেলা। এর পেছনে কারণ হিসেবে তার ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ বাহিনীর প্রশংসা করার বিষয়কে সামনে আনা হয়। ম্যান্ডেলার যুক্তরাজ্য ও আয়ারল্যান্ড সফরে লন্ডন, ব্রিস্টল, শেফিল্ড, এডিনবার্গ ও গ্লাসগোতে বিভিন্ন ইভেন্টে বক্তব্য দেওয়ার কথা ছিল। তবে, তার প্রথম ইভেন্টের জন্য নির্ধারিত ফ্লাইট বাতিল করতে হয়, কারণ তার ভিসা সময়মতো জারি হয়নি।


গাজায় ইসরাইলের যুদ্ধ শুরুর পর ম্যান্ডেলা মন্তব্য করেছিলেন, তারা ফিলিস্তিনের প্রতিরোধের অধিকারকে সমর্থন করেন ও সমস্ত প্রতিরোধ গোষ্ঠীকে তাদের সংগ্রাম আরও তীব্র করার জন্যও উৎসাহিত করেন।