সংবাদ বিজ্ঞপ্তি ::
মাখিন। রাখাইন সম্প্রদায়ের স্বামী হারা একজন বিধবা নারী। যার অসহায়ত্বে নিরবে-নিভৃতে কাঁদছে বিচারের বাণী। ছোট্ট দু'টি সন্তান নিয়ে ন্যায় বিচারের আশায় প্রতিনিয়ত ঘুরছেন এখানে ওখানে। আর নিরাশার মাঝেও অন্তত: আশায় বুক বেধে আছেন, একগাদা দালিলিক কাগজপত্র থাকার পরও ভূমিদস্যু শোকনের দৃষ্টি থেকে কখন ফিরে পাবেন মৃত স্বামী বাবু সে রাখাইনের রেখে যাওয়া সেই জমিটুকু। যেটি স্বামী হারা মাখিন ও প্রিয় স্বামীর রেখে যাওয়া ভালবাসার স্মৃতি দুই সন্তানের একমাত্র মাথা গুজার ঠায়।
বলছি, মহেশখালী পৌরসভার বড় রাখাইন পাড়া এলাকার একটি অসহায় পরিবারের কথা।
যেখানে সামান্য জমির লোভে রীতিমতো ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে একটি ভূমিদস্যু সিন্ডিকেট।
একই এলাকার আবাথি, মং ওয়েন, উছি মং, আউমে, ডুমে, সেংসামে, লাম্রা, মেদু এবং অংক্যাছিং রাখাইনের নেতৃত্বে ওই ভূমিদস্যু সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন ধরে মাখিনের স্বামীর রেখে যাওয়া জমি দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে।
অথচ, দীর্ঘ ২০/২২ বছর আগে মাখিনের স্বামী বাবু সে রাখাইন উক্ত জমি ক্রয় করার পর সেখানে স্ত্রী মাখিন ও তার তিন সন্তান নিয়ে বসবাস করে আসছিল বাবু সে। পরবর্তীতে প্রায় ১২ বছর আগে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে বাবু সে মারা যান। এর আগে মারা যায় তাদের বড় সন্তানটিও। পরবর্তীতে বাকি দুই সন্তান নিয়ে জীবনের সংগ্রাম শুরু করে স্বামী হারা গৃহবধু মাখিন।
কিন্তু সংগ্রামী নারী মাখিনের সেই পথচলা পিচ্ছিল করে দেয় তারই শশুরবাড়ির লোকজন। বিশেষ করে শাশুড়ী মেনো রাখাইন সন্তান মারা যাওয়ার পর ছোট্ট সেই জমি দখলে নিতে মরিয়া হয়ে পড়ে।
মহেশখালী গোরকঘাটা মৌজার সৃজিত ২১৬০ নং খতিয়ানের ৭২০ ও ৭২১ নং বিএস দাগের ০.০৪ একর জমির মধ্যে বিরোধীয় ০.০২ একর জমি অবৈধভাবে দখল করতে চান মেনো গং।
মাখিন জানান, এসব বিষয়ে মহেশখালী উপজেলায় বিভিন্ন সময় কর্মরত একাধিক সহকারী কমিশনার (ভূমি) এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাগণ অবগত হয়ে তদন্ত সাপেক্ষে অনেকগুলো রিপোর্ট দিয়েছেন তার পক্ষে। কিন্তু ভূমিদস্যুদের অস্ত্র এবং সন্ত্রাসী বাহিনীর দাপটের কাছে তাদের বৈধ সব কাগজপত্রও আজ বড় অসহায়। সম্প্রতি দু'টি সন্তানসহ সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে তাকে স্বামীর ঘর থেকে মারধর করে বের করে দিয়েছে মেনো গং।
বর্তমানে ভূমিদস্যুদের হুমকিতে দুই সন্তান নিয়ে জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন অসহায় মাখিন।
দীর্ঘ ১২ বছর ধরে ভুক্তভোগী মাখিনের বিচারের বাণী যেন নিভৃতেই কাঁদছে। তাহলে কি সঠিক বিচার পাবেনা অসহায় স্বামী হারা এই বিধনা নারী...?
এদিকে মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ কায়সার হামিদ জানান, বিষয়টি থানা পুলিশ অবগত আছে। কাগজপত্র যাচাই-বাছাই সাপেক্ষে প্রকৃত দাবীদারকে বিরোধীয় জায়গাটি বুঝিয়ে দিতে আইনি সহায়তা দেয়া হবে।